ঈদের বিশেষ ট্রেনের টিকেট বিক্রি শুরু ১২ জুন
আজ দুপুরে রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের বিশেষ ট্রেনের টিকেট বিক্রি
শুরু হবে ১২ জুন থেকে, চলবে ১৬ জুন পর্যন্ত। ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু ১৯
জুন থেকে, চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে টিকেট বিক্রি শুরু
হবে।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ২৬ জুনকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য দিন ধরে ঘরমুখো ঈদ যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ১২ জুন বিক্রি করা হবে ২১ জুনের টিকেট। এভাবে ১৩ জুন বিক্রি হবে ২২ জুনের, ১৪ বিক্রি হবে ২৩ জুনের, ১৫ জুন বিক্রি হবে ২৪ জুনের এবং ১৬ জুন বিক্রি হবে ২৫ জুনে ঘরমুখো যাত্রীদের টিকেট। ঈদ ফেরত যাত্রীদের জন্য আবার ১৯ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ২৮ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনের টিকেট বিক্রি করা হবে।
তিনি বলেন, এ জন্য মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি করে পৃথক কাউন্টারসহ মোট ২৩টি কাউন্টারে এবার ঈদের বিশেষ টিকেট বিক্রি করা হবে।
মুজিবুল হক বলেন, ঈদ উপলক্ষে একজন যাত্রীকে সর্বোচ্চ চারটি টিকেট দেয়া হবে এবং বিক্রিত টিকেট ফেরত নেয়া হবে না। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিশেষ ট্রেনের টিকেট বিক্রি শুরু হবে।
ঈদ উপলক্ষে সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল চলাচল করবে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা লাইনে, চাঁদপুর স্পেশাল-১ ও চাঁদপুর স্পেশাল-২ চলাচল করবে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম লাইনে, রাজশাহী স্পেশাল চলাচল করবে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী লাইনে এবং পার্বতীপুর স্পেশাল পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর লাইনে চলাচল করবে ২৩ থেকে ২৫ জুন ও ২৮ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত। এছাড়া শোলাকিয়া স্পেশাল-১ ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে ও শোলাকিয়া স্পেশাল-২ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে পবিত্র ঈদের দিন চলাচল করবে।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ঈদের আগে ১৭ জুন থেকে পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পঞ্চগড় লাইনে একজোড়া নতুন আন্তঃনগর শাটল ট্রেন চালু করা হবে। বেলা ১১টায় এ লাইনের উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া ২১ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সকল আন্তঃনগর ট্রেন সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও চলাচল করবে। তবে ২৫ ও ২৬ জুন মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করবে না।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরাপদে ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ট্রেন পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ২১ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
টিকেটধারী যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে জয়দেবপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ঢাকাগামী আন্তঃজোনাল ও আন্তঃনগর ট্রেনে কোন আসনবিহীন যাত্রী চলাচল করবে না উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের তিন দিন আগে থেকে কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া কোন গুডস ট্রেন চলাচল করবে না। তবে ঈদের দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কতিপয় মেইল এক্সপ্রেস টেন চলাচল করবে। কোন আন্তঃনগর ট্রেন এদিন চলাচল করবে না।
টিকেট কালোবাজারী ও নাশকতা প্রতিরোধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী ও খুলনাসহ দেশের সব বড়বড় স্টেশনে রেলওয়ে পুলিশ, আরএনবি, বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ ও র্যাবের সহযোগিতায় টিকেট কালোবাজারী, পলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ব প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া জেলা প্রশাসকের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক জানান, ঈদে অধিক যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থে বিদ্যমান এক হাজার ১৬১টি কোচের সাথে আরো ১৭১ কোচ বৃদ্ধি করে মোট এক হাজার ৩৩২টি কোচ ও ২২৯টি ইঞ্জিন দিয়ে যাত্রীসেবা দেয়া হবে। সংযোজিত অতিরিক্ত কোচের মধ্যে ১৩৫টি মিটারগেজ ও ৩৬টি ব্রডগেজ কোচ রয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে পূর্বাঞ্চলে ১৩টি ও উত্তরাঞ্চলে আটটি অর্থাৎ আরো ২১টি লোকোমটিভ বিদ্যমান ২০৮ লোকোমটিভের বহরের সাথে যুক্ত হবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ২৬ জুনকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য দিন ধরে ঘরমুখো ঈদ যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ১২ জুন বিক্রি করা হবে ২১ জুনের টিকেট। এভাবে ১৩ জুন বিক্রি হবে ২২ জুনের, ১৪ বিক্রি হবে ২৩ জুনের, ১৫ জুন বিক্রি হবে ২৪ জুনের এবং ১৬ জুন বিক্রি হবে ২৫ জুনে ঘরমুখো যাত্রীদের টিকেট। ঈদ ফেরত যাত্রীদের জন্য আবার ১৯ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ২৮ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনের টিকেট বিক্রি করা হবে।
তিনি বলেন, এ জন্য মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি করে পৃথক কাউন্টারসহ মোট ২৩টি কাউন্টারে এবার ঈদের বিশেষ টিকেট বিক্রি করা হবে।
মুজিবুল হক বলেন, ঈদ উপলক্ষে একজন যাত্রীকে সর্বোচ্চ চারটি টিকেট দেয়া হবে এবং বিক্রিত টিকেট ফেরত নেয়া হবে না। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিশেষ ট্রেনের টিকেট বিক্রি শুরু হবে।
ঈদ উপলক্ষে সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল চলাচল করবে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা লাইনে, চাঁদপুর স্পেশাল-১ ও চাঁদপুর স্পেশাল-২ চলাচল করবে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম লাইনে, রাজশাহী স্পেশাল চলাচল করবে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী লাইনে এবং পার্বতীপুর স্পেশাল পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর লাইনে চলাচল করবে ২৩ থেকে ২৫ জুন ও ২৮ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত। এছাড়া শোলাকিয়া স্পেশাল-১ ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে ও শোলাকিয়া স্পেশাল-২ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে পবিত্র ঈদের দিন চলাচল করবে।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ঈদের আগে ১৭ জুন থেকে পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পঞ্চগড় লাইনে একজোড়া নতুন আন্তঃনগর শাটল ট্রেন চালু করা হবে। বেলা ১১টায় এ লাইনের উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া ২১ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সকল আন্তঃনগর ট্রেন সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও চলাচল করবে। তবে ২৫ ও ২৬ জুন মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করবে না।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরাপদে ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ট্রেন পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ২১ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
টিকেটধারী যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে জয়দেবপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ঢাকাগামী আন্তঃজোনাল ও আন্তঃনগর ট্রেনে কোন আসনবিহীন যাত্রী চলাচল করবে না উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের তিন দিন আগে থেকে কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া কোন গুডস ট্রেন চলাচল করবে না। তবে ঈদের দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কতিপয় মেইল এক্সপ্রেস টেন চলাচল করবে। কোন আন্তঃনগর ট্রেন এদিন চলাচল করবে না।
টিকেট কালোবাজারী ও নাশকতা প্রতিরোধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী ও খুলনাসহ দেশের সব বড়বড় স্টেশনে রেলওয়ে পুলিশ, আরএনবি, বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ ও র্যাবের সহযোগিতায় টিকেট কালোবাজারী, পলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ব প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া জেলা প্রশাসকের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক জানান, ঈদে অধিক যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থে বিদ্যমান এক হাজার ১৬১টি কোচের সাথে আরো ১৭১ কোচ বৃদ্ধি করে মোট এক হাজার ৩৩২টি কোচ ও ২২৯টি ইঞ্জিন দিয়ে যাত্রীসেবা দেয়া হবে। সংযোজিত অতিরিক্ত কোচের মধ্যে ১৩৫টি মিটারগেজ ও ৩৬টি ব্রডগেজ কোচ রয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে পূর্বাঞ্চলে ১৩টি ও উত্তরাঞ্চলে আটটি অর্থাৎ আরো ২১টি লোকোমটিভ বিদ্যমান ২০৮ লোকোমটিভের বহরের সাথে যুক্ত হবে বলেও তিনি জানান।


No comments