আবারো মুসলিমবিরোধী সেই ট্রাম্প
এবার বার্লিনে সন্ত্রাসবাদী হানার পর সেই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার সময় এসেছে বলে মনে করেন আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
দু’দিন আগেই জার্মানির বার্লিনে বড়দিনের বাজারে নিসের কায়দায় ট্রাক হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ এতে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। আহত হয়েছেন ৫০ জন৷ ইতিমধ্যেই ইসলামিক স্টেট হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ সন্দেহভাজন হামলাকারী একজন মুসলিম, তার ওপর আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী ঘটনার দায় স্বীকারের পরেই সরব হন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ আমেরিকার নবনির্বাচিত এ প্রেসিডেন্টের সাফ কথা, ‘দেখলেন তো আমিই ঠিক৷ একেবারে একশো শতাংশ! শুরু থেকেই আমার অবস্থান আপনারা জানেন৷’
বুধবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
আমেরিকায় প্রাইমারি ইলেকশনের সময় মুসলিমদের ওপর তার ক্ষোভ নিয়মিত উগরে দিতেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ বলতেন তিনি ক্ষমতায় এলে কোনো মুসলিমকে আমেরিকায় ঢুকতে দেবেন না৷ প্রাইমারির পর জেনারেল ইলেকশানের সময় অবশ্য কিছুটা সুর নরম করেছিলেন ট্রাম্প৷ এরপর তিনি বলতে থাকেন, যেসব দেশ সন্ত্রাসবাদে মদত দেয় সেসব দেশ থেকে কাউকে মার্কিন মুলুকে ঢুকতে দেওয়া হবে না৷ যদিও মার্কিন মুলুকে মুসলিমদের নিষিদ্ধ করার বিষয়টি থেকে কখনওই পুরোপুরি সরেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
৮ নভেম্বর হিলারিকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট ইলেকশন জিতে যাওয়ার পর অবশ্য গোটা দুনিয়াকে চমকে দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সবাই এক৷ সংঘবদ্ধভাবে এবার কাজ করতে হবে৷’ তখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলেছিলেন, রাজনীতি ব্যাকরণ মেনে ভোটের বাজার গরম করেছিলেন ট্রাম্প৷ বাস্তবে সেই পথে হাঁটবেন না তিনি।
কিন্ত্ত বার্লিন নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া নিতে গিয়ে দেখা গেল নিজের পুরোনো অবস্থান থেকে খুব একটা সরে আসার ইচ্ছে নেই ট্রাম্পের৷ প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট -এর মুখপাত্র জানান, ‘মার্কিন জনতার নিরাপত্তার কথা ভেবে সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন জোগানো দেশগুলি থেকে মুসলিমদের ঢুকতে দেওয়া হবেই না৷’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটপ্রচারে কোনোদিনই মেপে কথা বলার ধার ধারেননি ট্রাম্প৷ অনেকেই মনে করেছিলেন প্রেসিডেন্ট পদে বসে হয়তো কথাবার্তায় আরও সংযত হবেন তিনি৷ কিন্ত ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ঢোকার আগেই ট্রাম্পের মুখ থেকে যা শোনা যাচ্ছে, তাতে আগামীতে তিনি কতটা সংযত থাকবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকেরই৷
কয়েক দিন আগেই দক্ষিণ চিন সাগরে একটি মার্কিন ডুবোযানকে বেংজিং আটক করার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘ওটা ওরা চুরি করেছে৷ আমাদের ফেরত দেওয়ার দরকার নেই৷ ওরা ওটা রেখে দিক৷’ তার এ ধরনের মন্তব্যকে অবশ্য ভালোভাবে নেয়নি চীন।
No comments