আস্তিক-নাস্তিক-বামপন্থী-চরমপন্থীতে আওয়ামী লীগের নৌকা এখন ডুবুডুবু : ফিরোজ রশীদ
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী ফিরোজ বলেন, আস্তিক-নাস্তিক, বামপন্থী-চরমপন্থী সব এখন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক
নৌকায় ওঠায় নৌকা এখন ডুবুডুবু। আস্তিক, নাস্তিক নিয়ে সাগর পাড়ি দিবেন
কিভাবে? অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ
সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, ১৯৭০ সালের বঙ্গবন্ধুর নৌকা আর এখনকার নৌকা
এক নয়। বাজেট অনেক বড়, নৌকাও অনেক বড়। নৌকায় কাকে উঠিয়েছেন এখন? আস্তিক,
নাস্তিক, বামপন্থী, চরমপন্থী সব নৌকায় ওঠালেন। এত পরিমাণ উঠেছে যে নৌকা এখন
ডুবুডুবু। এসব আস্তিক, নাস্তিক নিয়ে আপনি সাগর পাড়ি দেবেন কিভাবে? পারবেন
না, কারণ নৌকাতো ডুবুডুবু।
কাজী ফিরোজ বলেন, নৌকায় আওয়ামী লীগের যারা উঠতে পারেনি তারা এখন পাড়ে বসে শুধু লাফালাফি করছে। ভোট নিলে দেখা যাবে, আস্তিক, নাস্তিক আর হাইব্রিড আওয়ামী লীগের সাথে ত্যাগী আওয়ামী লীগের কত দূরত্ব বেড়েছে এবং কি অবস্থা দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, আমরা আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে গেছি- এমন কথা অনেক মন্ত্রী বলে থাকেন। কিন্তু লাখ লাখ গাড়ি নিয়ে কি মহাসড়কে চলা যায়? মহাসড়কে গতি থাকবে সর্বনিম্ন ৮০ থেকে ১০০ মাইল। আর আপনি এখন চালাচ্ছেন ১০ থেকে ২০ কিলোমিটারে গাড়ি। এই গাড়ির চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই।
বাজেট অধিবেশন চলাকালীন মন্ত্রীদের বিদেশ সফরের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করে ফিরোজ রশীদ বলেন, সংসদে বাজেট অধিবেশন চলছে, অথচ অনেক মন্ত্রী সংসদে নেই। তারা বিদেশে অবস্থান করছেন কেন? বিদেশে কি আরেকটা বাজেট অধিবেশন বসেছে? কেন তাদেরকে যেতে দেন, কি অর্জন তারা দেশের জন্য নিয়ে আসবেন? এই মন্ত্রী সাহেবরা গাড়ি আর পুলিশ নিয়ে জনগণের টাকায় চলছেন। এটাতো চলবে না। বাজেট অধিবেশনে মন্ত্রীদের থাকতে হবে।
দেশের শেয়ার বাজার থেকে আবারও টাকা চুরি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, একটা সিন্ডিকেট হাজার হাজার টাকা চুরি করবে, তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসময় অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, এ স্টক মার্কেটকে বাঁচান, ব্যবস্থা নিন।
সংসদে নিজ দল প্রসঙ্গে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আমরা যারা এই সংসদে আছি, মানুষ আমাদেরকে কি বলে? আমরা ডানে সরকারি দল, বামে বিরোধী দল। কেউ বিরোধী দল মনে করতে চায় না। আমি বলি, বিরোধী দল হয়ে কথা বলার চেষ্টা করি, মানুষ শুনে হাসে। করার তো কিছু নেই। কারণ আমাদের ভাগ্যের লিখন, না যায় খন্ডন।
জাপার এই নেতা বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকা যেনতেনভাবে খরচ করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী দেশের সব মানুষকে পুতুল মনে করেন। যেন জনগণ বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। এক লাখ কোটি টাকা বিদেশে ইতোমধ্যে পাচার হয়ে গেছে। অনেক মন্ত্রী ৯ মাস পর্যন্ত বিদেশে থাকেন, কিন্তু কী অর্জন করে নিয়ে আসেন কেউ জানে না।
ফিরোজ রশীদ বলেন, ব্যাংকে আবগারি শুল্ক আরোপের নামে বর্তমান সরকারের ভোট বিপুল পরিমাণ নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষমতার কালো চশমা পড়ে তারা তা দেখছে না। ব্যাংকগুলো অবাধ লুটপাটের জায়গায় পরিণত হয়েছে। লুটেরাদের বিচার না করে ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে জনগণের ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট বসাচ্ছে। সব কালো টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
কাজী ফিরোজ বলেন, নৌকায় আওয়ামী লীগের যারা উঠতে পারেনি তারা এখন পাড়ে বসে শুধু লাফালাফি করছে। ভোট নিলে দেখা যাবে, আস্তিক, নাস্তিক আর হাইব্রিড আওয়ামী লীগের সাথে ত্যাগী আওয়ামী লীগের কত দূরত্ব বেড়েছে এবং কি অবস্থা দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, আমরা আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে গেছি- এমন কথা অনেক মন্ত্রী বলে থাকেন। কিন্তু লাখ লাখ গাড়ি নিয়ে কি মহাসড়কে চলা যায়? মহাসড়কে গতি থাকবে সর্বনিম্ন ৮০ থেকে ১০০ মাইল। আর আপনি এখন চালাচ্ছেন ১০ থেকে ২০ কিলোমিটারে গাড়ি। এই গাড়ির চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই।
বাজেট অধিবেশন চলাকালীন মন্ত্রীদের বিদেশ সফরের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করে ফিরোজ রশীদ বলেন, সংসদে বাজেট অধিবেশন চলছে, অথচ অনেক মন্ত্রী সংসদে নেই। তারা বিদেশে অবস্থান করছেন কেন? বিদেশে কি আরেকটা বাজেট অধিবেশন বসেছে? কেন তাদেরকে যেতে দেন, কি অর্জন তারা দেশের জন্য নিয়ে আসবেন? এই মন্ত্রী সাহেবরা গাড়ি আর পুলিশ নিয়ে জনগণের টাকায় চলছেন। এটাতো চলবে না। বাজেট অধিবেশনে মন্ত্রীদের থাকতে হবে।
দেশের শেয়ার বাজার থেকে আবারও টাকা চুরি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, একটা সিন্ডিকেট হাজার হাজার টাকা চুরি করবে, তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসময় অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, এ স্টক মার্কেটকে বাঁচান, ব্যবস্থা নিন।
সংসদে নিজ দল প্রসঙ্গে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আমরা যারা এই সংসদে আছি, মানুষ আমাদেরকে কি বলে? আমরা ডানে সরকারি দল, বামে বিরোধী দল। কেউ বিরোধী দল মনে করতে চায় না। আমি বলি, বিরোধী দল হয়ে কথা বলার চেষ্টা করি, মানুষ শুনে হাসে। করার তো কিছু নেই। কারণ আমাদের ভাগ্যের লিখন, না যায় খন্ডন।
জাপার এই নেতা বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকা যেনতেনভাবে খরচ করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী দেশের সব মানুষকে পুতুল মনে করেন। যেন জনগণ বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। এক লাখ কোটি টাকা বিদেশে ইতোমধ্যে পাচার হয়ে গেছে। অনেক মন্ত্রী ৯ মাস পর্যন্ত বিদেশে থাকেন, কিন্তু কী অর্জন করে নিয়ে আসেন কেউ জানে না।
ফিরোজ রশীদ বলেন, ব্যাংকে আবগারি শুল্ক আরোপের নামে বর্তমান সরকারের ভোট বিপুল পরিমাণ নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষমতার কালো চশমা পড়ে তারা তা দেখছে না। ব্যাংকগুলো অবাধ লুটপাটের জায়গায় পরিণত হয়েছে। লুটেরাদের বিচার না করে ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে জনগণের ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট বসাচ্ছে। সব কালো টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
No comments